দেশের ৬৪ জেলার ৬৪ উপজেলায় মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট-এর ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষাগারের মাধ্যমে মাসব্যাপী ফসলি জমির মাটি পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ৫ মে ২০২৫ তারিখ থেকে শুরু হওয়া এক মাসব্যাপী এ কার্যক্রম চলবে আগামী ৫ জুন ২০২৫ পর্যন্ত। এ সেবায় ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষাগার (ভ্রাম্যমাণ গাড়ি) উপজেলায় গিয়ে কৃষকদের মাটি পরীক্ষা করবে, এতে কৃষকের ব্যয় হবে নমুনা প্রতি মাত্র ২৫ টাকা। ০৫ মে ২০২৫ তারিখ রোজ সোমবার সকালে রাজধানীর মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব মো. জাকির হোসেন। এ অনুষ্ঠানে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. বেগম সামিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব মো: ছাইফুল আলম। উক্ত অনুষ্ঠানে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ বিভিন্ন অংশীজন উপস্থিত ছিলেন।
মাটিতে সুষম মাত্রায় সার ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব জনাব মোঃ জাকির হোসেন বলেন, মাটি পরীক্ষা করে ফসলি জমিতে সুষম মাত্রায় সার ব্যবহার করে ফসল চাষ করলে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমবে। যা মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং ফসলের ফলন বাড়াতে সহায়ক হবে। এতে অতিরিক্ত সার ব্যবহারের খরচ থেকে কৃষক রেহাই পাবেন। সেই সাথে মাটি ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবে।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. বেগম সামিয়া সুলতানা বলেন, আমাদের এ কার্যক্রম প্রতি বছরই রবি এবং খরিফ মৌসুমে কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে। বর্তমানে ১০টি ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষাগার রয়েছে। এগুলো ব্যবহার করে ৫ মে থেকে ৫ জুন, ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত এক মাস সারা দেশে মাটি পরীক্ষা করা হবে। তিনি কৃষকের কাছে মাটি পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলতে ধরতে সবার প্রতি আহবান জানান।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের অ্যানালাইটিক্যাল উইং এর পরিচালক ড. আনিসুর রহমান বলেন, মাটি পরীক্ষা করে সার দিলে দেশে বছরে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এছাড়াও এতে পরিবেশ দূষণ কম হবে। ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে ও মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকবে।
প্রতি বছরই রবি এবং খরিফ মৌসুমে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এর আগে সর্বশেষ গত বছরের নভেম্বরে দেশের ৪৯ জেলার ৫৬টি উপজেলায় মাটি পরীক্ষা করা হয়। গত বছর সারাদেশে মাটি পরীক্ষা করে সরকারের ৬০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস